অনেকেরই সারা রাত জেগে থাকা এবং সকালে ঘুমানোর অভ্যাস আছে। এই ধরনের বেশিরভাগ লোকই সারা রাত জেগে থাকার কারণ হিসাবে ঘুমের অভাবকে উল্লেখ করে।
অনেকেরই হয়তো জানা নেই, রাতের খাবার ঘুম না হওয়ার কারণ হতে পারে। আপনি যে খাবারটি খান তাতেই সমস্যা তৈরি হয়।
এমন অনেক খাবার এবং শাকসবজি রয়েছে যা রাতে খেতে নিষেধ করেন বিশেষজ্ঞরা। এই খাবারগুলো স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী কিন্তু ঘুমের জন্য নয়। বিশেষজ্ঞরা এ কারণে রাতের খাবারের তালিকায় এসব খাবার খেতে নিষেধ করেছেন।
যেমন-
ব্রকলি : ব্রকলি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কিন্তু রাতের খাবারে খেতে ভুল করবেন না। ব্রকলিতে উপস্থিত ফাইবার হজম হতে বেশি সময় নেয়, যার কারণে রাতের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে। এর পাশাপাশি সকালে গ্যাস বা অ্যাসিডিটির সমস্যাও হতে পারে। তাই রাতের খাবারে এই সবজি খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
টমেটো: টমেটো খেলে ঘুমের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এটি মূলত টাইরামিনের কারণে হয়, এক ধরনের অ্যামিনো অ্যাসিড, যা মস্তিষ্কের কার্যকলাপ বাড়ায় এবং ঘুম আসতে বিলম্বিত করে। এ ছাড়া এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকায় রাতে ঠিকমতো হজম হয় না। এতে অ্যাসিডিটিও হয়।
বেগুন: টমেটোর মতো বেগুনে উচ্চ পরিমাণে অ্যামিনো অ্যাসিড টাইরামিন থাকে, যা নোরপাইনফ্রিনের মাত্রা বাড়ায়। এটি একটি উদ্দীপক যা শরীরকে সক্রিয় রাখে। তাই এটি রাতের খাবারের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত নয় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
শসা: শসা ৯৫ শতাংশ দিয়ে তৈরি। বিশেষজ্ঞদের মতে,বেশি পরিমাণে শসা খেলে পেট ভরা ও পরিতৃপ্ত বোধ হয়। তবে এগুলি রাতে এড়ানো উচিত কারণ এটি বেশি খেলে পেট ফুলে যাওয়া এবং ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।
ফুলকপি : ফুলকপি সাধারণভাবে স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো বলে ডায়েটে রাখার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা, তবে ঘুমানোর আগে এটি খাওয়া উচিত নয়। এই সবজি আপনার ভালো ঘুমের ক্ষমতায় হস্তক্ষেপ করতে পারে। কারণ এতে উপস্থিত ফাইবার ঘুমানোর চেষ্টা করার সময়ও হজম হয়।
দই: বিশেষজ্ঞদের মতে, দই স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। তবে রাতে খাওয়া উচিত নয়। এর প্রভাব গরম থাকে এবং হজম হতেও সময় লাগে। যার কারণে সারা রাত অস্থির বোধ করতে পারেন। এছাড়াও আয়ুর্বেদ মতে রাতে দই খাওয়া ভালো নয় কারণ এতে কফ তৈরি হতে পারে।